103 বছরেও ঘাম ঝরাচ্ছেন জিমে! বৃদ্ধার শরীরচর্চা দেখে চক্ষু চরক গাছ নেটিজেনদের

এক্সারসাইজ করার নাম শুনলে অনেকেই দশ হাত দূরে চলে যায়। কেউ ঘুম থেকে না ওঠার অজুহাত দেন, আবার কারের রয়েছে অলসতা। অনেকে আবার ঘটা করে জিমে ভর্তি হলেও কয়েকদিন গিয়েই বেপাত্তা হয়ে যান। কিন্তু শরীরচর্চা করার জন্যে যে কোনও বাহানাই প্রযোজ্য নয়, তাই যেন আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এমনকী জিমের ভারী ওজন তুলতে গেলে যে বয়সও তুচ্ছ বিষয় তাও দেখিয়ে দিলেন এক মহিলা। সম্প্রতি 103 বছরের এক বৃদ্ধার জিমে শরীরচর্চা করার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা।
আসলে বয়স শুধু একটি সংখ্যা মাত্র। মনের যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে বয়সের তোয়াক্কা না করে যে কোনও কাজই অনায়াসে করা যায়। তাই যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন তেরেসা মুর। যিনি পা রেখেছেন 103 বছর বয়সের কোটায়। তবে তাতে কী হয়েছে? দিব্যি জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা তেরেসা মুর সপ্তাহে অন্তত চারদিন জিমে যান। তাই কম বয়সীরা যেখানে ব্যয়াম না করার বাহানা খোঁজেন সেখানে তিনি তাঁদের কাছে দৃষ্টান্তই বটে।
শুধু শরীরের দিকে খেয়াল রাখাই নয়, নিজেকে সুন্দর রাখতেও পছন্দ করেন বৃদ্ধা। তাই জিমে বেশ মেকআপ করে যেতেই পছন্দ করেন তিনি। ফাউন্ডেশন, কমপ্যাক্ট, লিপস্টিক আর বেশ স্টাইলিশ চুল নিয়েই দিব্যি জিমে ভারী ওজন অনায়াসে তোলেন তেরেসা মুর।
তবে কে এই তেরেসা মুর যিনি বয়সকে হার মানিয়ে এমন অসাধ্য সাধন করছেন? তালিতে জন্ম হয়েছিল তেরেসা মুরের। 1946 সালে এক সেনাকর্তার সঙ্গে তাঁর বিয়ে করেন। তারপর থেকে স্বামীর কর্মসূত্রের কারণেই তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। শুধু শরীরচর্চা নয়, জীবনকে পুরোদমে উপভোগ করতেও পছন্দও করেন মুর।
নিয়মিত ব্যয়াম করলে শরীর ভালো থাকে। এ তো আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়জনই বা তা মেনে চলি! শতোর্দ্ধ বৃদ্ধাও রোজকার জীবনে এনার্জির জন্যই ওয়ার্কআউট করেন। এপ্রসঙ্গে তেরেসা মুরের মেয়ে শিলা মুর বলেন, “আমার মা একজন কৌতূহলী মানুষ। তিনি জিমে যান এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করেন। মা এই সবের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পায়।” আর তাই নিজেকে ভালোবেসে শরীরচর্চা করার জন্য অনুজদের প্রতি বার্তা দিয়েছেন বৃদ্ধা।