নৃশংস ঘটনা! প্রসাদে বিষ মিশিয়ে ‘খুন’ ১৫টি কুকুর ছানা

বারংবার সামনে আসছে কুকুর মারার মতন নৃশংস ঘটনা। মাঝেমধ্যেই কোথাও না কোথাও কুকুরকে মেরে ফেলার মতন পাশবিক ঘটনা ঘটে চলেছে। বারবার থানায় জানানো হলেও লাভ হয় না। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতে থাকে৷ ফের কুকুরকে নৃশংস ভাবে হত্যা করার ঘটনা ঘটল। এবার এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চন্ডীতলা এলাকায়। সেখানে ভোগের খিচুড়ির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয় কুকুর ছানাদের। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫টি কুকুর ছানার মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।
আর এই ঘটনায় ফুঁসছে পশুপ্রেমীরা। স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, কেউ সরস্বতী পুজোর ভোগের খিচুড়ির মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেয়। আর সেই খিচুড়ি খেতে দেয় পাড়ার কুকুর ছানাদের। আর সেই খিচুড়ি খেয়েই চন্ডিতলার মধ্যপাড়া ও পান পাড়া মিলিয়ে ১৫টি কুকুর ছানাগুলির মৃত্যু ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেছেন, রাতে দুষ্কৃতীদের অসামাজিক কাজকর্মে যাতে বাধা না পড়ে তার জন্য কুকুর গুলিকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
স্থানীয়রা চাইছেন, ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছেন তাদের শাস্তি হোক। এখন এই ঘটনায় কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও বিভিন্ন জায়গা থেকে কুকুর মারার মতন ঘটনা সামনে এসেছে। গত ২০১৯ সালে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কুকুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জানা যায়, কেউ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে ১৬টি কুকুর ছানাকে। কুকুরগুলির দেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, আঘাতের ফলে মৃত্যু হয়েছে তাদের।
১৪টি কুকুর ছানার লিভার ফেটে যায় ও বাকি দু’টি কুকুরের মাথার খুলিতে গুরুতর আঘাত লাগে। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাদের। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, এই ঘটনায় জড়িত দু’জন ছাত্রী এবং তারা হলেন সোমা বর্মন ও মৌটুসী মন্ডল। এই অপরাধের জেরে তাদের দু’জনকে কতৃপক্ষের তরফে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে সাসপেন্ড করা হয়। এভাবেই একের পর এক পাশবিক ভাবে কুকুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে যা শুনলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়।