নিউজ

BREAKING NEWS: অবশেষে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এদিন শুক্রবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ইস্তফা পত্র পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালের কাছে। অনেকদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়(Rajib Banerjee)। এবার শেষমেশ মন্ত্রীত্ব পদ ছাড়লেন তিনি। তবে বনমন্ত্রীর পর থেকে ইস্তফা নিলেও তিনি এখনও ডোমজুড়ের বিধায়ক আছেন। দলের প্রাথমিক সদস্যের পদেও রয়েছেন রাজীব। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান রাজীব।

দলের প্রতি তার বিরুদ্ধ মনোভাব রয়েছে তা বেশ কিছুদিন ধরেই বোঝা যাচ্ছিল। এবার সেই অনুমান সত্যি হল। এর আগে তিনি বেশকিছু জনসভায় দলের বিরুদ্ধে একাধিক অসন্তোষ পোষণ করেছিলেন। সামনেই নির্বাচন, আর এরই মাঝে রাজীবের এহেন মত পরিবর্তনের পর স্বাভাবিকভাবেই জিজ্ঞাসা চিহ্ন সৃষ্টি করছে। রাজনৈতিক মহলেও এই বিষয় নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শহরে আসার ঠিক আগের দিন এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে।

কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি। তিনি মনে করেন কিছুটা হলেও মানুষের কাছ থেকে সরে গিয়েছে তার দল। এদিকে এই ঘটনার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “বিজেপির দরজা বহুদিন ধরেই খোলা রয়েছে। তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি বিজেপিতে এলে দল লাভবান হবে”। অপরদিকে আরেক বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, ” তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এটি তৃনমূলের আভ্যন্তরীন বিষয়। পরবর্তীতে তিনি কী পদক্ষেপ নেবেন সম্পূর্ণ তার ব্যাপার”।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরে মন্ত্রীসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি যেগুলো মন্ত্রীসভায় বলা উচিত সেগুলি ফেসবুক লাইভ করে বলতেন। তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিত। কিন্তু তার আগেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তাই বনের মন্ত্রী কাজ না করে শহরে বসে ফেসবুক লাইভ করছিলেন, ওনার চলে যাওয়াতে দলের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সৌগত রায়।

Related Articles