অভিনয় কী জানে! মুখে কিছু না বলেও অপমানের জবাব দেন মিঠুন, লজ্জায় পড়ে যান রাজকুমার

একটানা ৫০টিরও বেশি হিট ছবি দিয়ে তিনি সুপারস্টার। টলিউড থেকে বলিউড সর্বত্র অবাধ বিচরন তার। বলার অপেক্ষা রাখেনা এখানে কথা হচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে। রাজকুমারকে যোগ্য জবাব মিঠুনের।
বলিউডের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী ।একটা সময় বলিউডে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা তারকা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বাঙালির প্রাণপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে তৃণমূলের রাজনীতিতে এনেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০১৪ সালে তাঁকে ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সাংসদও করেছিলেন মমতা। মিঠুনও মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যব্যাপী তৃণমূলের প্রচারে মাঠে নেমেছেন। কিন্তু বিধি বাম। হঠাৎ করেই সারদা কেলেঙ্কারিতে উঠে আসে মিঠুনের নাম। এর পরপরই ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের জেরার সম্মুখীন হতে হয় এই অভিনেতাকে।
তবে,কিন্ত আজকের মিঠুনের দাপট আগে এতটা ছিল না।এক সময় তারকা হিসাবে রাজকুমারের জনপ্রিয়তা ইন্ডাস্ট্রিতে এতটাই শক্ত ছিল যে কখনও কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কাটাতে হয়নি তাঁকে। কাজ হারানোর ভয়ও ছিল না। পরিচালক, প্রযোজক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সকলেই তাঁকে আলাদা খাতির করেই চলত। অনেকের মুখের উপর কথা বলে দিতেন তিনি। আর এরকম কাজ মিঠুনের সঙ্গে করেছিলেন তিনি। তবে, রাজকুমারকে যোগ্য জবাব দেন মিঠুন।
১৯৮০ সালে শুরু হয়েছিল ‘গলিয়োঁ কি বাদশা’ ছবির শ্যুটিং। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রাজকুমার এবং হেমা মালিনী। এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীও ছিলেন। কিন্ত তাকে পার্শ্ব চরিত্রে নেওয়া হয়েছিল। এরই মাঝে রাজকুমার যখন মিঠুনের কথা শোনেন, তিনি রীতিমতে বেঁকে বসেছিলেন।
এই ঘটনায় পরিচালক মিঠুনকে ছবিতে নেওয়া হবে কি না এ নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। তখনকার দিনে রাজকুমারের প্রস্তাব ফেলে দেওয়াটাও সহজ ছিল না। রাজকুমারের দাবি ছিল, মিঠুন এই জগতে একেবারেই নতুন মুখ। তাই তাঁর বদলে অন্য কোনও পরিচিত মুখ নেওয়াই উচিত হবে।
মিঠুনকে চিনতেন না রাজকুমার আর তাই নিজের পরিচয় দিতে গেলে রাজকুমার প্রকাশ্যেই চূড়ান্ত অপমান করেন মিঠুনকে। তিনি মিঠুনের মুখের উপর বলেন, অভিনয় যে কারও কাজ নয়। সেই সময় মুখে কিছু বলেননি মিঠুন।
এরপর বিভিন্ন কারণে ছবির মুক্তি আটকে যায়। ১৯৮০-র ছবি মুক্তি পায় ৯ হছর পর ১৯৮৯ সালে। ততদিনে কঠিন স্টার। সালটা ১৯৮৯ ওই রাজকুমারের ছবির থেকে মিঠুন চক্রবর্তী, গোবিন্দা, সানি দেওল, জ্যাকি শ্রফের মতো তারকাদের প্রাধান্য বেশি। ছবি বিক্রি করতে না পেরে সমস্যায় পরেছিলেন পরিচালকরা। কিন্ত মিঠুনের ছবি ছাপানোর পর সেটা বিক্রিও হয়ে যায়। যদিও বক্স অফিসে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ছবিটি। কিন্তু মিঠুনের জনপ্রিয়তার মাত্রা খুব ভাল ভাবেই টের পেয়ে যান রাজকুমার। নিজের কাজ দিয়েই রাজকুমারের অপমানের কড়া জবাব দেন মিঠুন। রাজকুমারের ছবি বিক্রি মিঠুনকেই কাজে লাগান পরিচালক। ছবির নায়ক রাজকুমার হলেও ব্যানার থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেন। পরিবর্তে পার্শ্ব চরিত্রে থাকা মিঠুনের ছবি বড় করে ছাপানো হয়।