নিউজ

স্বাধীন ভারতে এই প্রথম মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে, দু’বার ফাঁসি কাঠের পরীক্ষা করলেন পবন জহ্লাদ

স্বাধীনতার ৭৩ বছর পর এবার প্রথম দেশে এক মহিলার ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হল। তাকে ফাঁসি কাঠে ওঠানোর জন্য সবরকম প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। আর এই ফাঁসির ঘরটি রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরার জেলে। সেই ঘরটি তৈরি হওয়ার পর কখনও কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। আর সেখানেই ব্যবস্থা করা হতে পারে আমরোহার শবনমের ফাঁসির। শবনমের ফাঁসি মকুবের জন্য আবেদন পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) -এর কাছে।

কিন্তু তিনি সবকিছু বিচার বিবেচনা করেই শবনমের অপরাধের জন্য ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছেন। দিল্লির নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি কাঠে ঝোলানো পবন জহ্লাদ ইতিমধ্যে দুই বার ফাঁসি কাঠের পরীক্ষা করেছেন। মথুরা জেলে মহিলাদের ফাঁসি ঘরেই শবনমের ফাঁসি দেওয়া হবে। গত ১৫০ বছর আগে মথুরার জেলে ওই ফাঁসির ঘর তৈরি করা হয়। সেখানে আজ পর্যন্ত কোনো মহিলাকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। আর তার জন্যই চাপ বেড়ে গিয়েছে জেল কতৃপক্ষের।

শবনম আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা। তার বাবা পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি বাবনেখেড়ি গ্রামে শিক্ষকতা করেন। সুফি পরিবারের মেয়ে শবনম বেশ অবস্থাপন্ন ঘরেই বড় হয়েছে সে। শবনম ইংরেজি সাহিত্য এবং ভূগোলে এমএ করেছেন। এহেন শিক্ষিতা মেয়ে সেলিম নামের এক স্থানীয় যুবকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সেলিম একেবারে দিনে আনা দিনে খাওয়া ঘরের মানুষ। সে পঞ্চম শ্রেণিতে ফেল করে। স্বল্পশিক্ষিত যুবক সেলিমের সঙ্গে শবনমের সম্পর্ক মানতে পারেনি পরিবার।

এই কারণের জেরে গত ২০০৮ সালের ১৪ই এপ্রিল শবনম প্রেমিক সেলিমের সঙ্গে বাবা, মা, দশ মাসের ভাইপোসমেত পরিবারের সাতজনকে রাতের বেলায় খুন করে। তারা দু’জন কুঠার দিয়ে পরিবারের সবার দেহ একেবারে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। অপরাধী শবনমের ফাঁসি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। ডেথ ওয়ারেন্ট জারি হলেই ফাঁসি হবে শবনমের। আর তার আগেই সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চায় জেল কতৃপক্ষ।

Related Articles