মুখ্যমন্ত্রীই নন, সায়নী-দেবলীনাকে হুমকির প্রতিবাদে পথে রাজ ও নুসরত সহ একাধিক টলিপাড়ার তারকা

নজর একুশের নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি। কিন্তু যতোই নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি তৃণমূল তরজা বাড়ছে। সম্প্রতি নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বিশেষ অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে পাওয়া গিয়েছিল মোদি মমতাকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী স্টেজে উঠে বক্তব্য রাখতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে। অন্যদিকে অভিনেত্রী দেবলীনা ও সায়নীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ায় শহরের রাস্তায় একজোট টলিপাড়ার তারকারা।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। এরই মাঝে গত কয়েকদিন ধরে শহর উত্তপ্ত টলিপাড়ার অভিনেত্রীদের খুন ধর্ষণের হুমকি নিয়ে। সম্প্রতি টেলিভিশনের এক টক শোতে গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে মতামত দেওয়ায় অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তকে(Debolina Dutta) খুন আর গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। দেবলীনা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করার সময় গায়ক,পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কথার সূত্র ধরে জানান, নিরামিষভোজী হলেও প্রয়োজনে তাঁর বাড়িতে গিয়ে নবমীর দিন দেবলীনা গরুর মাংস রান্না করে দিতে পারেন। তিনি মনে করেন, খাদ্য খাদ্যাভাস এবং ধর্ম বিষয়ে তিনি এতটাই ছূৎমার্গহীন। সে দিনের পর থেকেই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুন্ধুমার অশ্লীল আক্রমণ শুরু হয়ে যায়।
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ(Saayoni Ghosh)। তারপর ২০১৫ সালে তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা একটি টুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ওই টুইটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
সায়নীর বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমনকি সায়নীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। যদিও তারপর তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এবার ২৩ জানুয়ারি স্লোগান বিতর্ক সহ সায়নী-দেবলীনাকে মুখ খোলার জন্য দেওয়া হুমকি ইত্যাদির প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব বিদ্বজনরা। একমঞ্চে হাজির গোস্বামী, শুভাপ্রসন্ন থেকে কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, নুসরত, তনুশ্রী থেকে রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিকও উপস্থিত। বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের মহড়া হয়ে উঠেছে শহরতলীতে বিশিষ্টদের সভা।