
আপনি কি অন্যের অঙ্গুলিলেহনে চলতে নারাজ। নিজের জীবনের রাশ নিজের হাতেই রাখতে চান? ৯ টা ৬ টার চাকরির এক ঘেয়ে জীবনে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন? নিজের মতো করে কিছু করতে চাইছেন? তাহলে ব্যবসাই (Business) আপনার জন্য ঠিকঠাক বিকল্প। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন এক ব্যাবসা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি যেখান থেকে আপনি সহজেই ঘরে বসে নিজের ব্যবসার বিকাশ ঘটিয়ে বিপুল আয় করতে পারবেন।
আসলে চিরাচরিত ব্যবসা শুরু করার সময় যে কোনো মানুষ সাধারণত দুটি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। প্রথমত ব্যাবসার পুঁজি এবং দ্বিতীয়ত ব্যাবসার আইডিয়া। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আপনাদের এই দুই সমস্যারই সমাধান করতে চলেছি। আজ যে ব্যাবসার কথা আলোচনা করা হবে সেখানে নাম মাত্র বিনিয়োগেই কাজ করা যাবে। তাও যদি বিনিয়োগ করার জন্য যথেষ্ট অর্থ না থাকে সেক্ষত্রে সসরকার আপনাকে মুদ্রা ঋণ দিয়ে সহায়তা করবে। তাহলে কি সেই ব্যবসা?
একথা আমরা সকলেই জানি যে মধু আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। মধু বিক্রয় করে মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কারণ দেশ ও দেশের বাইরে মধুর চাহিদা বিশাল। আর ভালো মানের মধু হলে তার দাম ও তার সাথে চাহিদাও থাকে তুঙ্গে। এছাড়াও রয়েছে জ্যাম। কারণ বাজারে জ্যামের চাহিদা প্রচুর হলেও ভালো মানের জ্যাম পাওয়া বেশ দুষ্কর।এটিও বাজারে হট কেকের মতো বিক্রয় হয়। এটি তৈরির প্রক্রিয়াও খুবই সহজ।
জ্যাম তৈরির উপকরণ হিসাবে লাগে ৩টি আম, ১টি মাঝারি আকারের পেঁপে, ১টি আনারস এবং ৫টি পেয়ারা। প্রথমে এগুলি ভালো করে পরিষ্কার করে ১০ মিনিট ধরে জলে ফোটাতে হবে। তারপর মিক্সার গ্রাইন্ডারে দিয়ে গ্রাইন্ড করে পাল্প বের করে নিতে হবে। এরপর প্লাপের সাথে সাইট্রিক অ্যাসিড মিশিয়ে ৫ মিনিট ফোটাতে হবে। তারপর সেখানে ২৫ মিলি পেকটিন মিশিয়ে আরো ২ মিনিট ধরে ফোটাতে হবে। ফোটা বন্ধ হলে প্রিজারভেটিভ হিসাবে ২ গ্রাম পটাসিয়াম মেটাবিসালফাইট মেশাতে হবে। সব শেষে অল্প জল ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে বন্ধ পাত্রে রেখে দিতে হবে। তারপর ভালো ভাবে ঠান্ডা হলে এর সাথে মধু যোগ করে আবার ভালভাবে মেশাতে হবে। ব্যাস তাহলেই তৈরি জ্যাম।
পুরো প্রক্রিয়াতে মোটেও খুব বেশি খরচ হয়না। নিজের জায়গা থাকলে তো কথাই নেই, যদি তা না থাকে তাহলে অগত্যা জায়গা ভাড়া নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভাড়ার অতিরিক্ত টাকাটা খরচ হবে। তাহলেও যন্ত্রপাতির দাম ২ লক্ষ টাকা টাকা ধরে, জায়গা ভাড়া ও কাঁচামাল মিলিয়ে মোটামুটি খরচ দাঁড়ায় মোট ৩,১৫,০০০ টাকা। কেউ যদি ১০০% ক্ষমতা দিয়ে কাজ করে তাহলে বছরে ৭ লাখ টাকারও বেশি রোজগারের সম্ভাবনা আছে।