মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! বরযাত্রীর গাড়ির উপর ট্রাক উল্টে মৃত ১৪

কথায় বলে বিপদ কখন আসবে তা আগে থেকে জানা থাকেনা। যদি আগে থেকে জানা থাকতো তাহলে হয়তো সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হতো। কখন যে আনন্দের অনুষ্ঠান নিরানন্দে পরিণত হবে তা হয়তো ভগবান ছাড়া আর কারুরই জানা নেই। আর এই কথা আরও একবার প্রমাণ দিচ্ছে ধূপগুড়ি জলঢাকা ব্রিজের কাছের দুর্ঘটনা। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় মৃত অন্ততপক্ষে ১৪, যার মধ্যে রয়েছে শিশুও।
জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার রাত ৯. ৩০ নাগাদ ধূপগুড়ি জলঢাকা ব্রিজের কাছে বোল্ডার বোঝাই লড়ির সঙ্গে একটি টাটা ম্যাজিক ও মারুতি ভ্যানের ধাক্কা লাগে। ওই তিনটি ছোট গাড়ি করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় এক বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন আত্মীয়রা। কিন্তু জলঢাকা সেতুর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বোল্ডার বোঝাই লরিটি। সেটির পিছনেই ছিল একটি ছোটো গাড়ি। যা লরিতে ধাক্কা মারে। তারপর দুটি ছোটো গাড়ির উপর উলটে পড়ে যায় লরিটি। বোল্ডারের নিচে চাপা পড়ে যায় অল্টো গাড়ি আর টাটা ম্যাজিক। স্থানীয় বাসিন্দারা হাত দিয়েই বোল্ডার সরিয়ে গাড়ি থেকে আহত এবং মৃতদেহ দের বের করে আনেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, দমকল।
এরপরেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। লরির নীচ থেকে আপাতত ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, গাড়ির তলায় আরও অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। পুলিশ সূত্রে খবর,মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ জন শিশু। পুলিশের অনুমান, ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল বরপক্ষের আত্মীয়রা। কিন্তু তাদের রুট উল্টো থাকলেও ময়নাগুড়ির দিক সঠিক পথ দিয়েই পাথর বোঝাই লরিটি। সামনা সামনি সংঘর্ষ হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে লরিটি।
দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই ঘটনাস্থলে তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা। স্থানীয়দের ক্ষোভ, ওই এলাকা দিয়ে নিয়মিত কয়েকশো বালি ও পাথরের লরি চলাচল করে। আর তার জেরে রোজ লেগেই আছে দুর্ঘটনা। বারবার লরি নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেও কোনও লাভ মেলেনি।